শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪২ অপরাহ্ন
নিজস্ব প্রতিবেদক : :
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুরে সন্ত্রাসী দের গুলিতে নিহত সৈয়দ জামাল মিয়া ( ৩৮) হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনও ঘটনার সাথে জড়িত কাউকে পুলিশ গ্রেফতার করতে পারেনি। উদ্ধার হয়নি ব্যাবহৃত আগ্নেয়াস্ত্র। তবে পুলিশ আসামীদের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে একাধিক স্হানে অভিযান চালিয়েছে। নিহত জামাল মিয়ার পিতা সৈয়দ আনহাই মিয়া রোববার এ প্রতিনিধি কে কান্নাজড়িত কন্ঠে বলেন, আমার নিরপরাধ ছেলেকে সন্ত্রাসীরা গুলি করে নির্মম ভাবে হত্যা করলো। তার দুটি অবুঝ শিশু বাবা বাবা বলে চিৎকার করে কাদঁছে। তাদেরকে কিভাবে শান্তনা দেবো। তিনি অবিলম্বে হত্যাকারীদের গ্রেফতার ও অবৈধ আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধারের জন্য পুলিশ প্রশাসনের নিকট জোর দাবী জানান।
এদিকে জামাল মিয়া হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনও ( রোববার বিকেল ৫টা পর্যন্ত) থানায় এজাহার দেওয়া হয়নি। হত্যার শিকার পরিবারের লোকজন গুলিবিদ্ধ হয়ে সিলেটের এমএজি ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন থাকায় মামলা দায়ের করতে বিলম্ব হচ্ছে বলে নিহতের পরিবারের লোকজন জানান।
জগন্নাথপুর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মিজানূর রহমান যুগান্তর কে বলেন, মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তিনি জানান, আসামী দের গ্রেফতার ও অস্ত্র উদ্ধারে অভিযান চলছে।
উল্লেখ্য,
উপজেলার সৈয়দপুর (ইশানকোনা) গ্রামে শুক্রবার (২৮ এপ্রিল) রাত প্রায় ৯টার দিকে দুপক্ষের সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।এসময় সৈয়দপুর (ইশানকোনা) গ্রামের সৈয়দ আনহাই মিয়ার ছেলে সৈয়দ জামাল মিয়া অস্ত্রধারী সন্ত্রাসী দের গুলিতে গুরুত্বর আহত হন। তাকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথে রাস্তায় জামাল মিয়ার মৃত্যু হয়।
জানা যায়, আনহাই মিয়ার ছেলে হোসাইন মিয়ার সাথে সৈয়দপুর বাজারে একিই এলাকার সৈয়দ হুসবান নূরের কথা কাটাকাটি হয়। এরই জের ধরে সন্ধার দিকে হোসাইন মিয়া কে প্রতিপক্ষের লোক জন মারপিট করে। পরে স্হানীয় পোষ্ট অফিস সংলগ্ন সড়কে
হোসাইন মিয়ার লোকজন ও সৈয়দ হুসবান নূরের নেতৃত্বে তার লোক জন সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় প্রতিপক্ষ বন্দুক দিয়ে এলোপাতাড়ী গুলি করলে হোসাইন মিয়ার বড়ভাই জামাল মিয়া বুকে গুলিবিদ্ধ হন। এ ঘটনায় গুলিবিদ্ধ সহ কম পক্ষে ১৫ জন আহত হয়েছেন। গুরুতর আহতদের সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। ওসমানী হাসপাতালে চিকিৎসাধীন নিহতের চাচা গুলিবিদ্ধ সৈয়দ আমিন মিয়া বলেন, আমি মধ্যস্হতা করে আমার লোকদের বাড়ীতে নিয়ে আসতে চাইছিলাম এসময় আমাদের লক্ষ্য করে হুসবান নূর এলোপাতাড়ি গুলি করতে থাকে। আমার ভাতিজা জামাল কে গুলিতে জাজরা করে দেয়। আমি ও আমার ভাই সহ আমাদের সবার উপর গুলি করে ত্রাসের সৃষ্টি করে।
Leave a Reply